বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবির প্রধান কার্যালয় এ ঋণ অনুমোদন করে। ‘দ্য কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় এই ঋণ দিচ্ছে এডিবি।
তারা বলছে, এই ঋণের ফলে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা সামগ্রী ও করোনা পরীক্ষার কিট কেনা এবং চিকিৎসা খাতের অবকাঠামো উন্নত করতে পারবে বাংলাদেশ। করোনা মহামারি মোকাবিলায় কার্যকর নজরদারি, প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং এসব কাজে দ্রুত সাড়া প্রদানও করতে পারবে সরকার।
ফলে আইসোলেশন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটসহ (সিসিইউ) ১৭ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা, অন্তত ১৯টি করোনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরির মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ডায়াগনোসিস সুবিধার উন্নয়ন করা, কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যখাতে কর্মরতদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং স্বাস্থ্যখাতে আরও অনেক চিকিৎসক ও কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
এ বিষয়ে এডিবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিজিন চেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে আর্থ-সামাজিক খাতের উন্নয়নে বেশ সফল। করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে আমরা আছি। আমাদের এই প্রকল্প করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশে জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম, চিকিৎসা সামগ্রী ও ডায়গনোস্টিক সিস্টেম সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।’
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৬৪ জন। ফলে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত হাজার ৬৬৭ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৬০ জন।