কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, বছরের সব সময়ই নতুন নোট ছাপানো হয়। তবে ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে তাই ছাপানোর পরিমাণও বাড়ানো হয়। এ বছর করোনার সংকটে বাজারে নতুন টাকার চাহিদা বেশি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই ছাপানোর পরিমাণও বাড়ানো হবে। এবার নতুন মুদ্রার মধ্যে রয়েছে ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০ এবং ৫০০ টাকার নোট। পূর্বের মতোই সমপরিমাণ পুরাতন নোট বাজার থেকে অপসারণ করা হবে। গত (২০১৯) ঈদে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়েছিল। তবে এ বছর ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট সরবারহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাজার থেকে পুরাতন টাকা তুলে নিয়ে নতুন করে ৩০ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে প্রথমে ২৫ হাজার কোটি টাকার নোট সরবারহ করবে। পরে প্রয়োজন হলে আরও পাঁচ হাজার কোটি টাকার নোট ছাড়া হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, চাহিদা-সরবরাহ নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সারাবছর বাজারে নোট সরবরাহ করে। তবে ঈদের আগে চাহিদা বেশি থাকে বলে বেশি নতুন নোট ছাড়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও নতুন নোট প্রকাশ করা হবে। এবার ২০০ টাকার নোট বেশি চাহিদা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে প্রায় এক লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকার কাগজের নোট বাজারে প্রচলিত আছে। সাধারণত কাগজের নোটের চাহিদা এক লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।