জানা যায়, প্রতিদিনই শত শত লোক নদীর পাড়ে ঘুরতে আসছেন। আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে নড়িয়ার বেড়িবাঁধের পাশে সুরেশ্বর থেকে মোক্তারেরচর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে 'জয় বাংলা অ্যাভিনিউ' এর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
সম্প্রতি স্থানীয়রা গণমাধ্যমে জানান, বর্ষা এলেই পদ্মা পাড়ের মানুষের মনে জাগত ভাঙনের আতঙ্ক, আর্তনাদ ও হাহাকার। একসময়ের কোটি টাকার মালিক নদীভাঙনে হয়েছের নিঃস্ব। এমন পরিবার আছে শত শত। বর্ষা এলেই এ এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিত। সে জায়গায় ভাঙন রোধ হয়েছে।এখন পরিণত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে।
তারা আরও জানায়, শুধু ২০১৮ সালেই এসব এলাকায় সাড়ে ছয় হাজার পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়। নদীগর্ভে বিলীন হয় পাকা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, হাট-বাজার, গাছপালা, ফসলি জমি, মসজিদ-মন্দির, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান। সেই জায়গায় এখন ভাঙন রোধ হয়ে গড়ে উঠেছে মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল। আর পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ যেন এখন পর্যটন নগরী। প্রতিদিনই শত শত লোক নদীর পাড়ে ঘুরতে আসছেন।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের উদ্যোগে নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে এক হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এ প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দেওয়ান গণমাধ্যমে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে এবং স্থানীয় এমপি এনামুল হক শামীমের কল্যাণেই এখানকার মানুষ নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে। এনামুল হক শামীম ২০১৮ সালের আগে এমপি-মন্ত্রী না হয়েও ৫০ বছরের নদীভাঙন কবলিত এলাকাকে রক্ষার করার জন্য বারবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন বলেই আমরা এখন নিরাপদে বসবাস করতে পারছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এর ফলে নাড়িয়া-জাজিরার মানুষ নদীভাঙন থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবেন বলে আশা করছি।