রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
এর আগে, গোয়েন্দা নজরদারি ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় শুটার মাসুমকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার দিন মাসুম গোপনে সংবাদ পেয়ে জানতে পারে মতিঝিল এজিবি কলোনি সংলগ্ন কাঁচা বাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে আছে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু। তারপর মাসুম সেখানে যায় এবং গুলি করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু টিপু অনেক লোকজনের মধ্যে থাকায় গুলি করতে না পেরে গাড়ি অনুসরণ করতে থাকে। গাড়িটি শাজাহানপুর লাইনের আগে আমতলা রাস্তায় যানজটে আটকা পড়লে মাসুম টিপুকে লক্ষ্য করে উপর্যপুরি গুলি করে পালিয়ে যায়। সঙ্গে তার দুই বন্ধু ছিল বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
কলেজছাত্রী সমিয়া আফরান প্রীতিকে হত্যার বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাফিজ আক্তার বলেন, পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দেওয়া ছিল। যে কয়টা গুলি ছিল তার সবই বের হয়ে যায়। মূলত এ কারণেই প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। কিন্তু প্রীতিকে হত্যা করার কোন উদ্দেশ্য তার ছিল না।