সোমবার সকালে একদল দুর্বৃত্ত বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দখলে নিতে শ্রমিক সংগঠনের অফিসের সামনে বোমা হামলা শুরু করে। বোমার আতংকে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচাতে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এসময় বন্দরে সব ধরনের মালামাল ওঠা নামাসহ পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর আহত ইমরান হোসেনকে আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিকের ঠিকাদারি কাজ দখল নিতে দুটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ঠিকাদার অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, সকালে প্রতিদিনের মতো শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। কোনো কিছু বোঝার আগেই বহিরাগত একদল শ্রমিক বন্দরের সামনে অর্ধ শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে বন্দরে সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। রাশেদ বাহিনীর লোকজন বন্দরে এ ধরনের বোমা হামলা করেছে বলে জানান তিনি।
নাভারন পুলিশের ‘ক’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, বোমা হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে তদন্তে জানা গেছে রাশেদ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বন্দরে বোমা হামলা করা হয়েছে। আমরা তিনজনকে আটক করেছি।