এদের মধ্যে নওগাঁ ও রাজশাহী জেলার দুজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে। এছাড়া মারা যাওয়া অন্য দুজন ছিলেন করোনা নেগেটিভ। এদের একজন সিরাজগঞ্জ এবং একজন কুষ্টিয়ার বাসিন্দা।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে দুজন এবং করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় দুজন মারা গেছেন।
গত এক দিনে হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন ৩ জন। এছাড়া একজন মারা গেছেন ৩০ নং ওয়ার্ডে। এদের মধ্যে তিনজন নারী এবং একজন পুরুষ রয়েছেন। যাদের দুজনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে। এছাড়া একজনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে।
পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাননি কোনো রোগী। এছাড়া এ সময় নতুন কোনো রোগীও ভর্তি হয়নি। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৩। বর্তমানে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন একজন। সন্দেহভাজন করোনা রোগী রয়েছেন ৭ জন। আরও ২ জন ভর্তি রয়েছেন করোনা নেগেটিভ হয়ে।
এখনো হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহী জেলার ৩ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন, নাটোরের ৩ জন, পাবনার একজন এবং জয়পুরহাটের একজন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর আগে সোমবার রামেক ল্যাবে রাজশাহীর ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের করোনা ধরা পড়েছে। করোনা শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ ছাড়া জয়পুরহাটের ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের করোনা ধরা পড়েছে। এই জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।