করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পর্যটন খাত ও প্রবাসী আয় ধাক্কা খাওয়ায় সম্প্রতি দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এমন অবস্থায় দেশটিতে মারাত্মক অর্থনৈতিক ও জ্বালানি-সংকট তৈরি হয়েছে। হাজারো মানুষ ফিলিং স্টেশনের সামনে কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। মুদ্রা বিনিময় সংকটের কারণে আমদানি বিধিনিষেধ থাকায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিদেশি দেনা পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
চলতি মাসের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে নয়াদিল্লি সফর করেন। তখন আমদানি করা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পরিশোধে দেশটিকে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার ঋণসহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল ভারত। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেটি বাড়িয়ে নতুন ঋণসীমা ১৫০ কোটি ডলার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
এক অনলাইন সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অজিত নিভার্দ কেবরাল বলেন, অতিরিক্ত ১৫০ কোটি ডলার অর্থসহায়তার ব্যাপারে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে আলোচনা চলছে। তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহায়তার মধ্য দিয়ে এ ঋণ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শ্রীলঙ্কার ভবিষ্যৎ অগ্রগতির পথে সঙ্গী হবে ভারত।
কেবরালের বক্তব্যের আগে রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার ঋণসীমার জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নতুন ঋণসীমার অনুরোধে সাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। চাল, আটা, ডাল, চিনি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আমদানির জন্য এ ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হবে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। সূত্র: রয়টার্স।