এর আগে ওই হত্যা মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারা এখন রিমান্ডে রয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, ‘বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর জাহিদুল ইসলাম টিপু ও সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এবং টিপুকে অনুসরণকারীসহ চারজনকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।’
তবে ওই পরিকল্পনাকারী বা বাকি তিনজনের নাম ওই বার্তায় প্রকাশ করা হয়নি। আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে গোয়েন্দা পুলিশ মাসুম মোহাম্মদ আকাশ এবং আরফান উল্লাহ দামাল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর থেকে অস্ত্রসহ দামালকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
এর আগে ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে আকাশকে এ মামলায় প্রথম গ্রেফতার করে ডিবি। ২৮ মার্চ তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বর্তমানে আকাশ রিমান্ডে রয়েছে। পুলিশ বলছে, আকাশই সেদিন গুলি চালিয়েছিল।
ঢাকার শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকার রাস্তায় ২৪ মার্চ রাতে অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪)। তার মাইক্রোবাসের পাশে দাঁড়িয়ে গুলি ছোড়ে হেলমেটধারী আততায়ী। ওই সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়ি চালক মুন্না।
মাত্র মিনিটখানেকের মধ্যে কাজ সেরে হামলাকারী সড়ক বিভাজক টপকে গুলি করতে করতে রাস্তার অন্য পাশে অপেক্ষায় থাকা একটি মোটরসাইকেলে উঠে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।