জানা গেছে, দু’টি কোম্পানির পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে তথ্য গোপন করে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন লঙ্ঘন করে ড. এম মোশাররফ হোসেন চেয়ারম্যান পদে বহাল রয়েছেন। এমতাবস্থায় তার পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী নামের একজন বিনিয়োগকারী গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন।
ড. এম মোশাররফ হোসেন ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২১ সালের জুন মাসে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪৫ হাজারের বেশি শেয়ার কেনেন মোশাররফ হোসেন। এসব শেয়ার তিনি জুলাই মাস শেষ হওয়ার আগেই বিক্রি করে দেন বলে রিটকারী আইনজীবিরা তাদের নথিতে উল্লেখ করেছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দুই মাসের মধ্যেই ডেল্টা লাইফের শেয়ারদর ৯৬ টাকা থেকে ১৬৪ টাকায় নাটকীয়ভাবে পৌঁছায়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আইডিআরএ’র শীর্ষ পদে বসে মোশাররফ হোসেন বিমা খাতের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- পদ্মা লাইফ, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ইসলামী ইন্স্যুরেন্স।
রিটকারী আইনজীবিরা বলছেন, বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বোচ্চ পদে থেকে মোশাররফ হোসেন শেয়ার লেনদেনে অংশ নিতে পারেন না। অথচ তিনি গত বছর সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক শেয়ারও ক্রয় করেছেন তারই নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
এছাড়াও তিনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সাবসিডিয়ারি পিএলআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টেরও শেয়ারহোল্ডার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ডেল্টা লাইফের পরিচালনা পর্ষদ ঘুষ দাবির যে অভিযোগ এনেছিল সেটি তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।