জানা যায়, চিঠিতে বিএসইসি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি, একনাবিন ও এমজে আবেদিন অ্যান্ড কোম্পানি নামে তিনটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করেছে। যে কোন একটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিএসইসিতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়।
এছাড়া কমপ্লায়েন্স অডিটের আওতায় কোন কোন বিষয় দেখতে হবে সেটিও উল্লেখ করেছে কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনানুসারে মালিকানা ও লেনদেন স্বত্ব পৃথক্করণ সম্পন্ন হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। ডিএসইর ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের ৯.২.৩ ধারা অনুসারে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।
এগুলো অর্জনে ডিএসইর নেয়া উদ্যোগের পাশাপাশি আরো কী উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে, সেটিও নিরীক্ষককে দেখতে হবে। বোর্ড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিধিমালা ও ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনে থাকা আচরণবিধি, নীতিনৈতিকতা ও অন্যান্য বিষয় অনুসারে ডিএসইর বিদ্যমান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেটিও দেখতে হবে নিরীক্ষককে।
এছাড়াও দৈনন্দিন আর্থিক ও ব্যবস্থাপনাগত বিভিন্ন ইস্যুতে এক্সচেঞ্জের পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়ার কমিশনের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, যা ডিমিউচুয়ালাইজেশনের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম ও বোর্ড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিধিমালা অনুসারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে কমপ্লায়েন্স অডিট করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।
এর আগে ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের মাধ্যমে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন করা হয়। যদিও দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ’ই প্রকৃত ডিমিউচুয়ালাইজেশন বাস্তবায়ন থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে।