স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেবাননের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, লেবানন রাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে গেছে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দেউলিয়া হয়েছে। আমরা এখন জনগণের ক্ষতির মাত্রা কমাতে চাই।
স্থানীয় চ্যানেল আলজাদিদকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ‘উপেক্ষা করার মতো নয়’। তাই ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের ব্যবস্থা সবার জন্য অবারিত থাকতে পারে না।
লোকসানের পরিমাণ রাষ্ট্র, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আমানতকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এ বণ্টন কত শতাংশ হারে হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, নানান সংকটের কারণে লেবাননের মুদ্রার মান ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে গেছে। ফলে দৈনন্দিন সাধারণ চাহিদাগুলোও দেশটির জনগণ পূরণ করতে পারছিল না।
খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো অধরা হয়ে যায় তাদের কাছে। জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়ও ধস নেমেছিল।
২০১৯ সালের নভেম্বর থেকেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে লেবানন। যার মধ্যে ছিল মুদ্রার চরম অবমূল্যায়ন এবং জ্বালানি ও চিকিৎসা ঘাটতি।