রেমডেসিভিরের প্রস্তুতকারক গিলেড সায়েন্সেস জানিয়েছে, পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই ওষুধ প্রয়োগে করোনা রোগীরা অনেক কম সময়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। ইতিবাচক এই ফল মেলার কারণেই ইবোলার এই ওষুধটি এবার করোনাভাইরাসের চিকিৎসাতেও ব্যবহারের অনুমতি মিলেছে।
শুক্রবার গিলেড সায়েন্সেসের প্রধান নির্বাহী ড্যানিয়েল ও’ডে-কে সঙ্গে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খুবই আশাব্যঞ্জক ঘটনা। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ওপর এর প্রথম পর্যায়ের প্রয়োগে আমরা খুশি। আমরা নিশ্চিত করব, এই ওষুধের সুবিধা যেন যুক্তরাষ্ট্রের সবাই পান।’
করোনা রোগীদের ওপরে রেমডেসিভির প্রয়োগে সুফল পাওয়া গেছে বলে আগেই জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফওসি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও এই ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে।
জানা যায়, রেমডেসিভিরের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে করোনা পজিটিভ রোগীদের ওপর দু’ধরনের ডোজের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। সেখানে গত মার্চে শুরু হওয়া গবেষণায় কিছু রোগীকে পাঁচদিন ধরে নির্দিষ্ট ডোজে রেমডেসিভির দেয়া হয়েছে, অন্যদের দেয়া হয়েছে ১০ দিন। দু’টিতেই ফলাফল প্রায় একই এসেছে। পাঁচদিনের কোর্সে যারা ওষুধ গ্রহণ করেছেন তাদের মতো ১০ দিনের কোর্স করা রোগীরাও একইভাবে উপকৃত হয়েছেন।
স্ট্যানফোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওষুধ গ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই সেরে ওঠার পথে। সব ঠিক থাকলে আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন।
গিলেড সায়েন্সেস তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে দ্রুত কাজ করছে রেমডেসিভির। তবে গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধটি কেমন কাজ করবে তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।
তাদের দাবি, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়া করোনা রোগীদের ৬২ শতাংশই রেমডেসিভির ওষুধ গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে উঠছেন। মোট ৩৯৭ জন রোগীর ওপর এই ওষুধের ট্রায়াল চলছে।