জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছি মূলত আর্ন্তজাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি অর্জন করতে। কারন আমাদের ব্যবসা যেহেতু রপ্তানিমূখী, তাই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত থাকলে নতুন নতুন দেশে ব্যবসা বৃদ্ধি করা সহজ হবে। আছিয়া সি ফুড একটি আধুনিক এবং শতভাগ রপ্তানিমুখী নেতৃস্থানীয় সি ফুড উৎপাদনকারী এবং প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সাল থেকেই আমরা স্বাস্থ্যকর সী ফুড উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করে যাচ্ছি।
প্রতিষ্ঠানটির আয় সম্পর্কে তারিকুল ইসলাম জহির অর্থসংবাদকে বলেন, গত অর্থবছরে আমাদের শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৮৮ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি নিট সম্পদের মূল্য ছিল ১৭ টাকা ০৭ পয়সা।
তিনি বলেন, আছিয়া সি ফুডের প্রধান পণ্য হচ্ছে বিভিন্ন জাত ও আকারের সামুদ্রিক এবং সাদা পানির হিমায়িত চিংড়ি মাছ। এছাড়াও কিছুদিন যাবৎ পণ্য বৈচিত্রকরনের অংশ হিসেবে আমরা মানসম্মত বিভিন্ন সাদা মাছও রপ্তানি করছি। যুক্তরাজ্য, সাইপ্রাস, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
আছিয়া সি ফুডের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমরা স্বাস্থ্যসম্মত ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত সি ফুড পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করছি। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতেও যেন আমরা আমাদের পণ্যের মান ধরে রেখে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে আছিয়া সি ফুডসকে আন্তর্জাতিক বাজারে সি ফুড ব্যবসার মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।
এছাড়াও তিনি জানান, এইচএসিসিপি, বিআরসি এবং আইএসও সার্টিফিকেশনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএস ফুড অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত প্রক্রিয়াজাতকারীদের সাথে লেনদেন করে মানসম্পন্ন সি ফুড ব্যবসায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে আছিয়া সি ফুড।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) হিমায়িত মৎস্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান আছিয়া সি ফুডস লিমিটেডকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
কোম্পানিটি কিউআইও এর মাধ্যমে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দামে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। কিউআইও’র মাধ্যমে উত্তোলন করা টাকা নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন, ব্যাংক ঋণের একাংশ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করবে প্রতিষ্ঠানটি।