বিনিয়ো গকারীদের পছন্দের শীর্ষে জেএমআই হাসপাতাল

বিনিয়ো গকারীদের পছন্দের শীর্ষে জেএমআই হাসপাতাল
বড় ধরনের পতনের মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এই পতনের বাজারে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে নতুন তালিকাভুক্ত জেএমআই হাসপাতাল। গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষে ছিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার। ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থান দখল করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতিদিনই জেএমআই হাসপাতালের শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২২ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি গত ৩১ মার্চ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু করে। লেনদেনের প্রথমদিন থেকে এখনো পর্যন্ত প্রতি কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে।

লেনদেন শুরুর আগে কোম্পানিটি চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের (২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে মোট মুনাফা হয় পাঁচ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয় ৬১ পয়সা।

অপরদিকে জুলাই-ডিসেম্বর এই ছয় মাসে মোট মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি ৬২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে মোট মুনাফা হয় ১০ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এতে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয় এক টাকা ২১ পয়সা।

জমি ক্রয়, ভবন তৈরি, মেশিনারিজ ক্রয়, ঋণ পরিশোধ কাজে ব্যবহারের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা তুলতে প্রতিষ্ঠানটির আইপিও অনুমোদন করে বিএসইসি। এ সংক্রান্ত বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয় গত বছরের ১৬ নভেম্বর।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিএসইসির) অনুমোদনের পর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে ১২ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেএমআই হাসপাতালের বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। এই বিডিংয়ে অংশ নিয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করেন ২৫ টাকা। আর আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারের দাম দিয়েছেন ২০ টাকা করে।

এদিকে দাম বাড়ার পরও বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাননি। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র এক লাখ ৪৭ হাজার টাকার। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৯ হাজার টাকা।

গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইমাম বাটন। এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর পরের স্থানে রয়েছে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-০১। সপ্তাহজুড়ে এ ফান্ডটির দাম বেড়েছে নয় দশমিক ৯০ শতাংশ।

এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলসের সাত দশমিক ৭৮ শতাংশ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের সাত দশমিক ২৮ শতাংশ, রংপুর ফাউন্ড্রির পাঁচ দশমিক ৮০ শতাংশ, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের পাঁচ দশমিক ৪০ শতাংশ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পাঁচ দশমিক ২০ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের পাঁচ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্টের চার দশমিক ৭০ শতাংশ দাম বেড়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ