শুক্রবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ইতোমধ্যে হাওরের প্রায় ৭৭ শতাংশ বোরো ধান কর্তন শেষ হয়েছে। পাকা অবস্থায় রয়েছে ১০ শতাংশ এবং এখনও পাকেনি ১৩ শতাংশ বোরো ধান।
এছাড়া সারা দেশের ১৬ শতাংশ বোরো ধান ইতোমধ্যে কাটা শেষ হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই সাত জেলায় শুধু হাওরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধান আবাদ হয়েছে।
এর মধ্যে ৭৭ শতাংশ ধান কাটা শেষ হল। এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ শতাংশ আসবে হাওর অঞ্চল থেকে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস আদালত বন্ধ রেখেছে, সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এবং কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে বেশিরভাগ মানুষ ঘরে থাকায় হাওর অঞ্চলের ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দেয় এবার।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকদের ধান কাটতে হাওর এলাকায় পাঠানো হয়। এদের রাতে থাকার জন্য ওইসব এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে।