এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) অর্থায়নে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্রাইসিস রেসপন্স ফ্যাসিলিটি প্রজেক্টের আওতায় অংশগ্রহণকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার জন্য ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
গত ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার ও এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট মো: আব্দুল ওহাব, এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোঃ নাছের, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো: ওবায়দুল হক এবং ব্র্যাক ব্যাংক এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সিএমএসএমই খাতে জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অন্যতম শীর্ষস্থানে আছে ব্র্যাক ব্যাংক। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি সিএমএসএমই খাতের প্রসার ও অগ্রগতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্র্যাক ব্যাংক। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখে গুরুত্বপূর্ণ এ খাত।
চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক সহ অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ ২,৫২০ কোটি টাকা পুন:অর্থায়ন সুবিধা পাবে, যা ভর্তুকি ইন্টারেস্টে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সিএমএসএমই খাতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ বিতরণে অসাধারণ সাফল্যের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-কে স্বীকৃতি প্রদান করে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক। প্রণোদনা প্যাকেজের দুই ধাপে ব্র্যাক ব্যাংক এখন পর্যন্ত ২,৬৬৯ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের সবোর্চ্চ। বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও বৃহৎ টিমের কারণে এই সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ সম্পন্ন করতে পেরেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পুন:অর্থায়ন সুবিধাকে সাধুবাদ জানিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “এআইআইবি এর অর্থায়নে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্রাইসিস রেসপন্স ফ্যাসিলিটি প্রজেক্টের বাস্তবায়নের অংশীদার করায় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সিএমএসএমই অর্থায়নে গুরুত্বপ্রদানকারী ব্যাংক হিসেবে প্রান্তিক ও তৃণমূল পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের সহজ অর্থায়ন নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে উদ্যোক্তাদের সহায়তায় আমরা আমাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করেছি। আমরা মনে করি, পুন:অর্থায়নের ঋণ বিতরণের ফলে সিএমএসএমই খাতে প্রাণ ফিরে আসবে এবং উৎপাদনক্ষমতা মহামারী পূর্বের পর্যায়ে ফিরে যাবে।”