ব্যাংকের বইপ্রেমীদের এবারের আলোচনা বিজ্ঞান-কল্পগল্প এবং অস্তিত্ব-সম্মন্ধীয় সাহিত্যের মধ্যে থাকা ব্যবধানকে ম্লান করে দিয়েছে বইটি। আলোচকরা লেখকের অনন্য লেখনশৈলী এবং গভীর চিন্তাভাবনা প্রক্রিয়ার ব্যাপক প্রশংসা করার পাশাপাশি তাঁর এই সংকলনকে সাহিত্যের কোন ধারায় ফেলা যায়, তা নিয়েও কৌতূহল প্রকাশ করেন।
বানিয়ালুলু গ্রন্থটি ‘বিজ্ঞান-কল্পগল্প’, না ‘অস্তিত্ববাদি গল্প’, নাকি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার কিছু— তা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনাকারীরা লেখকের গল্পগুলোকে সাহিত্যের শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধারার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, বানিয়ালুলু গ্রন্থটিকে গতানুগতিক সাহিত্যের ধারার বাইরের হিসেবে তুলে ধরেন।
পাঠকদের মাঝে নিজের সৃজনশীল প্রক্রিয়ার ভাবনা তুলে ধরার সাথে সাথে লেখক নিজেও তাঁর গল্পগুলোকে কোন শ্রেণিতে ফেলবেন, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
নিজের লেখাকে নির্দিষ্টভাবে ‘বিজ্ঞান-কল্পগল্প’ হিসেবে আখ্যায়িত করার বিষয়ে নিজের অনিচ্ছা প্রকাশ করে শিবব্রত বর্মন জানান, “আমি প্রচলিত ধারার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।”
লেখক, ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের পাঠকদের বই নিয়ে ও বইয়ের বাইরে করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। একজন লেখক হিসেবে তিনি তাঁর জীবন, লেখনশৈলী এবং গল্পের প্লট খুঁজে পাওয়ার যাত্রা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
সাহিত্যপ্রেমীদের এই আড্ডা শিবব্রত বর্মনের মতো একজন অন্যতম সমসাময়িক লেখকের মনে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি করে।
জানুয়ারি মাসে ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যরা ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ’ নিয়ে আলোচনা করবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফে বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা এবং প্রশংসার মাধ্যমে একটি সাহিত্যানুরাগী সমাজ তৈরির প্রচেষ্টায় সচেষ্ট রয়েছে।
এমআই