রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা সেন্টারের দেওয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তদের মধ্যে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১১ লাখ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানানো হয়। আক্রান্ত বিবেচনায় বিশ্বে করোনায় সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি জার্মানিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যু হার সাধারণ নিউমোনিয়ার চেয়ে বেশি হলেও ২০০২ সালে চীনে এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণেই শুরু হওয়া আরেক রোগ সার্সের তুলনায় তা অনেক কম। তবে উপসর্গ ছাড়াও আক্রান্ত হওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেকে সুস্থ হচ্ছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
করোনাভাইরাসে এ মুহুর্তে সবচেয়ে বিপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখের কাছাকাছি। দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যাও ১ লাখ ৭৫ হাজার পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বেোচ্চ জার্মানিতে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি করোনা রোগী এখন সুস্থ। তবে তুলনামূলক জার্মানিতেই সুস্থ হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। কারণ দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার; যারমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি সুস্থ হয়েছে।
এছাড়া স্পেনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ২ লাখ ১৬ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজারের বেশি এখন চিকিৎসা শেষে সুস্থ। এদিকে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু তালিকায় থাকা দেশ ইতালিকে সংক্রমিত ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি রোগীর ৮১ হাজার ৬০০ এর বেশি এখন সুস্থ।
সুস্থ হওয়ার দিক থেকে তালিকায় এরপরই রয়েছে চীন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত প্রায় ৮৪ হাজার রোগীর মধ্যে ৭৮ হাজার ৫০০ এর বেশি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া ইরানে ৯৭ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর ৭৮ হাজারের বেশি এখন সুস্থ।
প্রাদুর্ভাব শুরুর পর অল্প কিছুদিনের মধ্যে সোয়া লাখ আক্রান্ত হওয়া তুরস্কে এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার দিক থেকে তুরস্কের পর রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে সংক্রমিত ১ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি রোগীর অর্ধলক্ষাধিক রোগী এখন সুস্থ।
এছাড়া ব্রাজিলে প্রায় ৪১ হাজার, কানাডায় ২৫ হাজার, সুইজারল্যান্ডে ২৪ হাজার ৫০০, রাশিয়ায় ১৬ হাজার ৬০০ এবং মেক্সিকো, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় ১৩ হাজারের বেশি করে কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ। বাংলাদেশে আক্রান্ত হাজার ৪৫৫ জনের মধ্যে ১ হাজার ৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন।