এ ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরীতে দৈনিক ১ হাজার ২০০ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন চলছে।
জানা গেছে, শিল্পনগরীতে অবস্থিত ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘টিম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড’ প্রতিদিন ১০০ মিলি আকারের ১২ থেকে ১৫ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে। উৎপাদিত এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন ধরনের ১০ হাজার প্যাকেট ওষুধ উৎপাদন করছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিল্পনগরীর আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান ‘অশোকা ল্যাবরেটরি’, ‘হকস্ ফার্মা’ ও ‘শাহী ল্যাবরেটরি’ সুনামের সঙ্গে ইউনানি/আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদন করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান তিনটিতে সাধারণ জ্বর, সর্দি, হাঁপানিসহ জটিল ও কঠিন রোগের ওষুধ উৎপাদন কার্যক্রম চালু রয়েছে।
শিল্পনগরীতে উৎপাদনরত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৬টি খাদ্য ও খাদ্যসহায়ক উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে। এগুলোতে নিয়মিত চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি, সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট, কেক, পাউরুটি, সরিষার তেল, আইসক্রিম, বিশুদ্ধ খাবার পানি, গুঁড়া মরিচ, গুঁড়া হলুদ ইত্যাদি উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে ‘নোভা এশিয়া এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামে প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের শতভাগ আমেরিকা ও কানাডায় রফতানি করছে বলে জানান শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. ওয়ায়েস কুরুনী।
রাজশাহী বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক জাফর বায়েজীদ জানান, শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা পণ্য উৎপাদন করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কারখানাগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সরকারের নির্দেশনায় কারখানাগুলোতে পণ্য উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ চেইন অব্যাহত রাখতে বিসিকের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে প্রায় ৯৭ একর জমি নিয়ে রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়। এতে ৩২৫টি শিল্প প্লটের ২০৪টি শিল্প ইউনিট সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ শিল্পনগরীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।