সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১ হাজার ৫২৪ জন। একই সময় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৪ জন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, করোনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়, ১৬৮ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিন লাখ ৭৪ হাজার ৯০২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৪৪৬ জনের। এ নিয়ে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৩৭ হাজার ১৩৭ জনে।
বিশ্বে একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। আক্রান্তের তালিকায় আট নম্বরে থাকা দেশটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৭২৫ জন এবং মারা গেছেন ১০৯ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ হাজার ১৩৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৯ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৪৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ কোটি ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫১ জন।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ লাখ ২২ হাজার ১৯৩ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৮২১ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ২৭৬ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৮ জন। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০৯ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৩ জন। মারা গেছেন ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭০১ জন।
এছাড়াও সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ৪০ জন, জার্মানিতে ২২ জন, ইতালিতে ৭৯ জন, তুরস্কে ১৫ জন, জাপানে ২৭ জন, ইরানে ১৩ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৩ জন এবং থাইল্যান্ডে ১২৬ জন মারা গেছেন।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪২ নম্বরে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৫৬ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ১২৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪ জনের। আর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।