মঙ্গলবার সচিবালয় থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে তিনি হাওরের ধানা কাটা পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলে এবার ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯০৬ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। হাওরে আবাদ হওয়া ধানের ৯০ দশমিক ০২ শতাংশ কাটা শেষ হয়েছে।
এছাড়া সারা দেশে আবাদ হওয়া ২৫ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে জানিয়ে রাজ্জাক বলেন, জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দেশের সমতল ভূমির ধান কাটাও শেষ হবে তারা আশা করছেন।
“অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ধান কাটা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছিলেন।… আগাম বন্যায় কোনো কোনে বছর হাওরের ধান নষ্ট হয়, এবার তা হয়নি; আবহাওয়া পুরো অনুকূলে ছিল।”
হাওর অঞ্চলের ধান কাটার কাজে সাড়ে তিন লাখ কৃষক নিয়োজিত আছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী। জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা ধান কাটায় কৃষককে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এই সাতটি জেলায় শুধু হাওরে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে।
এ বছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ শতাংশ আসবে হাওর অঞ্চল থেকে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস আদালত বন্ধ রেখেছে, সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এবং কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে বেশিরভাগ মানুষ ঘরে থাকায় হাওর অঞ্চলের ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দেয় এবার।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকদের ধান কাটতে হাওর এলাকায় পাঠানো হয়। এদের রাতে থাকার জন্য ওইসব এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে।