সম্মেলন শুরুর আগে এক যৌথ চিঠিতে এই পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান ইউরোপীয়ান নেতারা। এতে একশ' কোটি ডলার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন ও নরওয়ে।
ফ্রান্স, সৌদি আরব ও জার্মানি ৫০ কোটি ডলার করে দিতে চেয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া এই উদ্যোগে শামিল হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় টিকা উদ্ভাবন ও আনুষাঙ্গিক গবেষণায় গত শুক্রবার তহবিল যোগাড়ের উৎপরতা শুরু করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। এর অংশ হিসেবে সোমবার আয়োজন করা হয় ভার্চুয়াল কনফারেন্স। যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নরওয়ে ও সৌদি আরবও এই সম্মেলনের সহআয়োজকের ভূমিকা পালন করে।
ওই কনফারেন্সের সূচনা বক্তব্যে উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৪ মে একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠিবে বলে আমি বিশ্বাস করি, কেননা আজ সারা বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সহযোগি অনেক, লক্ষ্য একটাই: ভাইরাস পরাজিত করা।’
ওই ভার্চুয়াল কনফারেন্সের সহ আয়োজক ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ভাগাভাগি করতে পারবো তত দ্রুত আমাদের বিজ্ঞানীরা টিকা উদ্ভাবনে সফল হতে পারবেন।’ করোনার টিকা উদ্ভাবনের গবেষণায় যুক্তরাজ্য ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিশ্ব নেতাদের জোগাড় করা তহবিল করোনার টিকা উদ্ভাবনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গবেষণায় ব্যবহার করা হবে। জাতিসংঘ বলছে, টিকা উদ্ভাবন ছাড়া স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব হবে না। এই টিকা উদ্ভাবনে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে গবেষণা প্রকল্প চলছে। আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কবে নাগাদ এটি কার্যকর হবে তা জানতে এখনও সময়ের প্রয়োজন পড়বে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগবে।