করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিকভাবে ২০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত অন্যান্য হাসপাতালেও অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।
জানা গেছে, দেশে বাণিজ্যিকভাবে অক্সিজেন উৎপাদন করা সব থেকে বড় প্রতিষ্ঠানটিতে দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ১২০ টন। সেখানে আবুল খায়েল গ্রুপের একেএস প্লান্টে রয়েছে ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা, যা বাংলাদেশে বৃহত্তম। তবে এই অক্সিজেন স্টিল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হয় না।
এখন করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অক্সিজেন সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবুল খায়েল গ্রুপ। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ২০০ সিলিন্ডার সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীতে কোম্পানি সরবরাহ করা সিলিন্ডারের বাইরেও পাওয়া অতিরিক্ত সিলিন্ডার সিলিং করে করোনা নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ জন্য ইতোমধ্যে একটি হেল্প ডেস্কও খুলেছে আবুল খায়ের গ্রুপ। করোনা চিকিৎসায় নির্ধারিত হাসপাতালকে অক্সিজেনের জন্য ০১৯৮৮৮০২১৬৬ হেল্প লাইনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছে আবুল খায়েল গ্রুপ।
বাংলাদেশের সরকারি হিসাবে, হাসপাতালগুলোতে যত অক্সিজেন সিলিন্ডার দরকার আছে তার অর্ধেক। সাধারণত একটি সিলিন্ডার থেকে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা অক্সিজেন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে একদিনেই একজন রোগীর ৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রয়োজন।
এ অবস্থায় বেসরকারি অক্সিজেন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাজধানী ও জেলা পর্যায়ের যেসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা জরুরী।
করোনা চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এমন হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা জেনারেল হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। বেশ কয়েকটিতে এটি চালুর প্রক্রিয়া চলছে।