২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ

২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ

ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ২০২৩ সাল শেষ করতে যাচ্ছে স্বর্ণের বৈশ্বিক বাজার। এ বছর মহামূল্যবান ধাতুটির গড় দাম তিন বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২০ সালের পর এবারই প্রথম স্বর্ণের বাজারদর আউন্সপ্রতি ২ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। গত বছরের তুলনায় দাম বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।


স্পট মার্কেটে চলতি বছরের সাপ্তাহিক লেনদেনের শেষ দিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার ৩৪ সেন্ট। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে মূল্যবান এ ধাতুর মূল্য দাঁড়িয়েছিল আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৭১ ডলার ৮০ সেন্টে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম ১৩ শতাংশ বেড়েছে। আউন্সপ্রতি এ বছরের সর্বনিম্ন দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ ডলার ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৩৫ ডলার ৪০ সেন্ট, যা ছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।


আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান ম্যারেক্সের বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মেয়ার বলেন, জাহাজ ক্রমে শান্ত জলের দিকে যাচ্ছে, মানে নিম্ন সুদহারের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে ডলারের দরপতন। তাই স্বর্ণের দাম আরো বাড়তে পারে। স্বর্ণে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা, নতুন বছর ধাতুটির দাম রেকর্ড উচ্চতায় বাড়বে। ২০২৩ সালে ফেড সুদহার কমানোর সম্ভাবনা, অব্যাহত ভূরাজনৈতিক শঙ্কা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয় প্রবণতা ধাতুটির মূল্য বাড়াতে সহায়ক হবে।


সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএসের বিশ্লেষক জিওভানি স্টাউনোভো বলেছেন, স্বর্ণের দর আবারো সর্বোচ্চে দেখতে হলে বিনিয়োগকারীদের চাহিদা বাড়তে হবে। এর জন্য প্রয়োজন দুর্বল মার্কিন অর্থনৈতিক ডেটা ও নিম্ন মূল্যস্ফীতি, যাতে ফেড সুদহার কমিয়ে দেয়।


বাজার প্রবণতা অনুযায়ী, ব্যাংক আমানতে উচ্চ সুদহার না থাকলে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের বাজারে ঝুঁকতে শুরু করেন, যার প্রভাবে ধাতুটির দাম বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলার মূল্য হারাচ্ছে। ২০২৩ সালে ডলারের ২ শতাংশ দরপতন ঘটেছে। ডলারের বিনিময় হার কমে গেলে ভিন্ন মুদ্রার গ্রাহকের জন্য স্বর্ণের ক্রয় খরচ কমে যায়। এতে বিক্রি বেড়ে যায় ধাতুটির। পাশাপাশি ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের সুদহার গত পাঁচ মাসের সর্বনিম্ন স্তরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এতেও স্বর্ণের বাজারমুখী হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।


এদিকে স্বর্ণ ব্যতিত অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর জন্য বছরটি (২০২৩) ইতিবাচক ছিল না বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কভিত্তিক মেটাল ব্যবসায়ী তাই ওয়াং। স্পর্ট মার্কেটে বছরের শেষ কার্যদিবসে রূপার দাম দশমিক ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ ডলার ৮২ সেন্টে। ২০২৩ সালে ধাতুটির গড় দাম কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ। একই দিনে আইন্সপ্রতি প্লাটিনামের দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে নেমেছে ৯৯০ ডলার ৭৫ সেন্টে। প্যালাডিয়ামের দাম ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০২ ডলার ৫৪ সেন্টে। উভয় ধাতুই নিম্নমুখীতায় বছর শেষ করেছে। ২০২৩ সালে গড়ে ৩৮ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে প্যালাডিয়াম, যা ২০০৮ সালের পরে সর্বনিম্ন।


ম্যারেক্সের বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মেইর বলেন, প্যালাডিয়ামের বিপুল উদ্বৃত্ত নিয়ে নতুন বছর শুরু হবে। আগামীতে বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনের (ইভি) চাহিদা বাড়ায় ধাতুটির বাজার সীমিত হয়ে আসার ঝুঁকিতে রয়েছে। ইভি তৈরিতে প্যালাডিয়ামের প্রয়োজন হয় না।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি