বিশ্ববিদ্যালয়টির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা এখন ৭০ হাজার ১১৫ জন। চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়া এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। তাতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা এখন ১১ লাখ ৯২ হাজার ১১৯ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্পেনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু যুক্তরাজ্যে; ৩০ হাজারের কিছু বেশি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর ১ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন। দেশটিতে সুস্থ হওয়ার হার ১৫ শতাংশের কিছু বেশি আর মৃত্যুর হার প্রায় ৬ শতাংশ। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত প্রতি একশ জনের ৬ জন মারা গেছে; যা বিশ্বে করোনায় গড় মৃত্যুর হারের চেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ব্যাপকহারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে করোনার। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা জনবহুল নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের। নিউইয়র্কে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত ৩ লাখ ২১ হাজার রোগীর ২৫ হাজার ৭৩ জন মারা গেছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে নিউইয়র্কে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেশি।
নিউইয়র্কের পর সংক্রমণ-মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ এর বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ৮ হাজার ২৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্য আক্রান্ত ৭০ হাজারের প্রায় ৪১শ মারা গেছে।
নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির পর সংক্রমণের হিসাবে তালিকায় উপরে রয়েছে ম্যাসাচুসেটস, ইলিনয়, ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান ও কানেক্টিকাট। দেশের এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির অর্থনীতি পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে তোড়জোর চালাচ্ছেন তিনি।
লকডাউন প্রত্যাহার করতে হলে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে মন্তব্য করে ট্রাম্পের তোপের মুখে পড়েছেন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি। ট্রাম্পের বক্তব্য, যথেষ্ট পরিমাণে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর বেশি প্রয়োজন নেই। সামনে নির্বাচন তাই ব্যবসা-বাণিজ্য চালুর জন্য মরিয়া ট্রাম্প।