ফেরিরঘাটে যানবাহন ও মোটরসাইকেলর দীর্ঘ সারি। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটেও যাত্রীচাপে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে যে যেভাবে পারছে ঘাটে আসছে। লঞ্চ, ফেরি, স্পিডবোটে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুট হয়ে পাড়ি দিচ্ছে প্রমত্তা পদ্মা।
শনিবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে বৈরি আবহাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ রাখা হলেও রোববার সকাল ৬টার দিকে আবারো লঞ্চ সচল করে বিআইডব্লিউটিএ। নৌরুটে বর্তমানে ১০টি ফেরি, ১৫৫টি স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পদ্মা পারি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘাটে আসছে হাজার হাজার যাত্রী। মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপারে হিমশিম অবস্থায় ঘাট কর্তৃপক্ষ। বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল ১নং ফেরিঘাটে। এই ঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। বাকি দুই ঘাট দিয়ে ব্যক্তিগত ও ছোটগাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। এরপরও চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা। লঞ্চঘাটে আজও গাদাগাদি ভিড়। লঞ্চঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সিঁড়িতে যাত্রীদের দীর্ঘ জট থামছে না।
এদিকে রোববার ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো বাস। ঘাটের অভিমুখের কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটেই ঘাটে আসছেন বাসযাত্রীরা।
যাত্রীরা জানান, শনিবার পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় চাপ বেড়েছে বহুগুণ। ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে গ্রামে যেতেই হবে। শেষ সময়ে তাই যে যেভাবে পারছে ছুটছেন।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, নৌরুটে ১টি রোরো, ২টি মিনি রোরো, ২টি কেটাইপ ও ২টি ডাম্পসহ মাত্র ১০টি ফেরি সচল রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, আজ যাত্রীচাপ অনেক বেশি। সকাল থেকে লঞ্চ সচল রয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রী পারাপারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।