মঙ্গলবার (৩ মে) বাংলাদেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা কম ছিল। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। ঢাকায় গত শেষ রাতে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী দু-দিন ঝড়-বৃষ্টির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে শাহীনুল বলেন, ‘তবে আগামী ৫ দিনের মধ্যে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হ্রাস পেতে পারে।’
আগামী ৫ বা ৬ মে’র দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালের দিকে কালবৈশাখী ঝড় কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, নরসিংদী জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সকালের দিকেই সিলেট বিভাগের জেলাগুলো উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুরের মধ্যে ঝড় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
বিকেলের মধ্যে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে এবং সন্ধ্যার পর ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর উপর দিয়ে দিনের দ্বিতীয় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।