মঙ্গলবার (৩ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) ছিল সপ্তাহিক ছুটি। এরপর ১ মে (রোববার) ছিল মে দিবসের ছুটি। এরপর ২, ৩ ও ৪ মে (সোম, মঙ্গল ও বুধবার) ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার একদিন খোলা থাকার পর আবার দুদিন (৬ ও ৭ মে) সাপ্তাহিক ছুটি। তাই যারা ৫ মে ছুটি নিয়েছেন তারা টানা ৯ দিনের ছুটি পেয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে তাদের আগামী ৮ মে (রোববার) অফিস করতে হবে।
তাই ঢাকার বাইরে ঈদ করতে যাওয়ার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশির ভাগই ৫ মে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে যারা ছুটি না পেয়েও দূর-দূরান্তে গিয়ে ঈদ করেছেন তারা হয়তো বৃহস্পতিবার এসেই অফিসে যোগ দেবেন।
করোনা মহামারির কারণে গত দু’বছর ঈদ কেটেছে বিধিনিষেধের মধ্যে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দু’বছর পর এবারই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এসেছে ঈদুল ফিতর।
গত দু’বছর করোনা সংক্রমণ রোধে ট্রেন, দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। তাই এক মাস রোজা রাখার পর গত দুটি ঈদুল ফিতর গ্রামে থাকা প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে গিয়ে কাটাতে পারেননি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জীবিকার জন্য ঢাকায় আসা মানুষ।
এবার প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রেল, সড়ক ও নৌপথে অসংখ্য মানুষের রাজধানী ছাড়ার চিরাচরিত সেই চিত্র চোখে পড়েছে। লাখ লাখ মানুষ গ্রামে ফেরায় ঢাকা ফাঁকা হয়ে গেছে।