রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: মোজদার হোসেন বলেন, “আগামী ১২ মে জেলা প্রশাসন, ফল গবেষণা কেন্দ্র সবাই মিলে ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হবে। কোন আম কবে নামাতে পারবেন চাষিরা সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।”
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, “আম পাড়ার সময় বেঁধে দেওয়া সময়ের আগে কোনোভাবেই আম নামানো যাবে না। খুব শীঘ্রই আমচাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ফল গবেষণাকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সবাই বসে একমত হওয়ার পরই সময় নির্ধারণ করা হবে। আগামী সম্ভাব্য ১২ মে সভা করার পর গুটি জাতের আম, গোপালভোগ, খিরসা সব ধরণের আমের সময় নির্ধারণ করা হবে।”
রাজশাহী ফল গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, এই মাসের ২০ তারিখের পর থেকে আমের স্বাদ নিতে পারবেন। তবে, ভালো আম পেতে আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমচাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ফল গবেষণাকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সবাই বসে একমত হওয়ার পরই রাজশাহী জেলা প্রশাসন গাছ থেকে আম ভাঙার সময় বেঁধে দিবে। সেই সময় অনুযায়ী গাছ থেকে আম ভাঙা হলে এবং সেই আম বাজারজাত এবং খাওয়া হলে কোনো ঝুঁকি থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফল পাকতে একটু আগে-পরে হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেকটা আগেই গোপালভোগ আম পাকে। লিচুর ক্ষেত্রেও একইরকম হয়। এছাড়া বাদুড়ের আক্রমণের কারণে অনেক লিচুচাষি আধা-কাঁচা লিচু পাড়ছেন। এসব লিচু মিষ্টিও নয়; দামও কম।
মোর্তজা নামে পবা উপজেলা বড়গাছী এলাকার এক আমবাগানি বলেন, গোপালভোগ আম পাড়তে আরোও ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। মাসের শেষের দিকে বাজারে আসতে পারে। গুটি জাতের আম এখনো পাড়া দেখা যায়নি। গুটি আমের সাথেই গোপালভোগ আম পাড়া শুরু হয়।-এগ্রিকেয়ার