এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান অক্সফাম বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান সানক্রেড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরীক্ষামূলক আকারে সম্প্রতি সিলেটের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওড় এলাকায় ৩১৬ জন কৃষককে সূচকভিত্তিক শস্যবীমার আওতায় নিয়ে এসেছে।
হাওড় এলাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিকে আর্থিক মূল্যে রূপান্তর করে গ্রীন ডেল্টা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও নদীসৃষ্ট বন্যা হতে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতি নিরসনের লক্ষ্যে ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২২ মে পর্যন্ত বীমা সুবিধা প্রদান করবে। এই বীমার আওতায় ফসলের ক্ষতি হলে বীমাকৃত কৃষক অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং বন্যার পানির উচ্চতা ও স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে বীমা দাবি পেতে পারেন।
নদীসৃষ্ট বন্যার ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ৮ মিটারের বেশি পানি থাকলে এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে টানা ৩ দিনে ১২৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির ওপর স্থায়িত্বভেদে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বীমা দাবি পাবেন। নদীসৃষ্ট বন্যার পানির উচ্চতা ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পরিমাপের জন্য ওয়াটার লেভেল স্টেশন ও স্যাটেলাইটভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হবে, যা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্কাইমেট ওয়েদার সার্ভিসেস লিমিটেড গ্রীন ডেল্টাকে প্রদান করবে।