বুধবার (১১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় স্বার্থের সংঘাত পরিহার এবং নিরপেক্ষতা, পেশাগত মান ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৩(১) (ক) ধারায় কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যাংকের পরিচালক হলে একই সময়ে তিনি অন্য কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিমা কোম্পানির পরিচালক থাকতে পারবে না।
একইভাবে ব্যাংক কোম্পানি পরিচালনায় শৃঙ্খলা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা পরিহার ও অধিকতর শৃঙ্খলা জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলার বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বা পর্ষদ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদের সহায়ক কমিটি যথা- নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি ওই ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের অর্থায়নে গঠিত ও পরিচালিত কোনো প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ বা গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, পরিচালক, সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন না।
কোনো ব্যক্তি যদি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকে তাহলে তাকে আগামী ৩০ জুনের পদত্যাগ বা অব্যাহতি নিয়ে পদ শূন্য করতে বলা হয়েছে। এবং পদ শূন্য হওয়ার তথ্য ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠাতে বলা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা মনোনীত পরিচালক বা স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ন্যূনতম এক বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে তার মেয়াদপূর্তি বা অবসর বা অব্যাহতির পর ওই ব্যক্তিকে কখনোই ওই ব্যাংকের নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। আর যদি এমন কোনো নিয়োগ হয়ে থাকে, তাহলে আগামী ৩১ জুলাই মধ্যে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি পদত্যাগ করার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানাতে বলা হয়েছে।
এ সার্কুলার জারির অব্যবহিত পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদের সভায় সার্কুলারের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করতে হবে, পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।