লি জিমিং বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে অন্য দেশের ঋণের ফাঁদ নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশে চীনের কোনো ঋণের ফাঁদ নেই।
‘চীন থেকে নেওয়া ঋণের ফাঁদে পড়বে বাংলাদেশ’, বিশেষজ্ঞদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, আমরা চীন থেকেও বেশি ঋণ জাপান থেকে নিয়েছি, অথচ এটা কেউ বলে না।
বাংলাদেশ ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সজাগ জানিয়ে ড. মোমেন সেদিন বলেছিলেন, বাংলাদেশ ঋণ নিতে খুব সজাগ। যাচাই-বাছাই না করে প্রধানমন্ত্রী কোনো ঋণ নেন না। এ ব্যাপারে একেবারে সতর্ক আমরা। আমাদের ঋণের ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা নেই। চীন থেকে ৫ থেকে ৬ পারসেন্টের মতো নিই আমরা। ওটা নিয়ে মাথা ঘামায় সবাই।
এদিকে ড. মোমেনর সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহযোগিতা এবং চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।