সমাজের প্রতি নার্সদের অবদান ও মানুষের সেবায় যেভাবে তারা কাজ করেন তা সবার সামনে তুলে ধরতে এ দিনটি পালন করে বিশ্ব। আধুনিক নার্সিং পেশার রূপকার ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এ দিবস পালন শুরু হয়।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করে আসছে। অতীতে ঢাকায় স্বল্প পরিসরে দিবসটি পালিত হলেও বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
এ বছর নার্স দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় শক্তিশালী নার্স নেতৃত্বের বিকল্প নেই- বিশ্ব স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নার্সিং খাতে বিনিয়োগ বাড়ান ও নার্সদের অধিকার সংরক্ষণ করুন।
নার্সিং এমন একটি পেশা যা সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। এ পেশার মাধ্যমে ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিকভাবে কোনো রোগী বা ব্যক্তির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার এবং জীবনযাত্রার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এ পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত, দক্ষ কিংবা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি নার্স বা সেবিকা নামে পরিচিত। সাধারণত নারীরাই নার্সিং পেশায় বেশি জড়িত থাকেন। তবে এখন অনেক পুরুষও এ পেশায় যুক্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে রেজিস্টার্ড নার্স আছেন ৭৬ হাজার ৫১৭ জন। আর মিডওয়াইফ আছেন ছয় হাজার ২৮৫ জন। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ৪২ হাজারের বেশি নার্স ও মিডওয়াইফ। এ ছাড়াও বেসরকারিভাবে কাজ করছেন ৩০ হাজার।
নার্স দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মহাখালীতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস (এসএনএসআর) নার্স দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা, কেক কাটা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।