কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি - মার্চ) আয় কমেছে কোম্পানিটির আয় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা কমেছে। তবে আয় কমলেও এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় সাড়ে ৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মূলত উৎপাদন খরচ ও পরিচালন ব্যয় কমে আসায় আয় কমলেও নিট মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছে কোম্পানিটি।
আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিএটিবিসির আয় হয়েছে ৮ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৯ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় কমেছে ৮ শতাংশের বেশি। টাকার অংকে যা ৭৮৬ কোটি টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ৮৯৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় ছিল ৯৬৭ কোটি টাকা। আর পরিচালন ব্যয় হয়েছে ১৬২ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছর যা ছিল প্রায় ২৩৫ কোটি টাকা। ফলে উৎপাদন ও পরিচালন ব্যয় কমে আসায় কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিএটিবিসির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৪১৬ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৩৮৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানটির নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৭৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ১৭ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৮৬ পয়সায়।
সমাপ্ত হিসাব বছরে বিএটিবিসির ইপিএস হয়েছে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২০ টাকা ১৬ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ৭ টাকা ৫৬ পয়সা বা সাড়ে ৩৭ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬২ টাকা ৯৬ পয়সা।