শনিবার (১৪ মে) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মনিষ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের আপলোডকৃত ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব সনদ, স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কমপক্ষে নবম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে ২৩ মের মধ্যে অফিস সময়ে নিজ নিজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অবশ্যই জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা দেওয়ার সময় ওই সব কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দেখাতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ২৩ মের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁদের মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।
মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পরে প্রকাশ করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল ১২ মে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন। প্রথম ধাপে ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২টি জেলার মধ্যে কিছু জেলার সব কটি উপজেলায় পরীক্ষা হয়, আর কিছু জেলার আংশিক উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা ২০ মে এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন।
তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। সে হিসাবে একটি পদের জন্য প্রতিযোগিতা হচ্ছে ২৯ প্রার্থীর মধ্যে।