উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ২০ হাজার ৬২০ জনের। ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৫০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পরিস্থিতিকে ‘মহাবিপর্যয়’ বলছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে উত্তর কোরিয়া। এরপর দেশজুড়ে লকডাউন ও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।কেসিএনএ বলছে, দেশের সব প্রদেশ, শহর ও কাউন্টি পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। কর্মক্ষেত্র, উৎপাদন এলাকা ও আবাসিক এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর সামনে আনে উত্তর কোরিয়ার সরকার। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে অমিক্রনে আক্রান্ত ওই রোগী শনাক্ত হয়। এর পাশাপাশি বিষয়টিকে ‘জরুরি অবস্থা’ আখ্যায়িত করে দেশজুড়ে লকডাউনের আদেশ দেন সর্বোচ্চ নেতা কিম।
বিবিসি বলছে, প্রথমবার করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করল দেশটির সরকার। এতে দেশটিতে সম্ভাব্য বড় ধরনের সংকটের বিষয়টিই নজরে এল। উত্তর কোরিয়া বিদেশি সাহায্য নিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে রাজি হয়নি। সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে। কিন্তু কঠোর নিষেধাজ্ঞাও ব্যর্থতা ঠেকাতে পারেনি।
প্রথমবার করোনা শনাক্তের কথা স্বীকার করে পরিস্থিতি ‘মহাবিপর্যয়’ উল্লেখ করেছেন কিম জং-উন। গতকাল শনিবার তিনি বলেন, এ মহামারি সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার কোনো নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হননি বলে দুই বছর ধরে দাবি করে আসছিল সরকার। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল দেশটি। এর জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় পিয়ংইয়ংকে। দেশটিতে টিকা দেওয়ার বিষয়েও কোনো সরকারি তথ্য নেই।
বিবিসি বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি উত্তর কোরিয়ার। দেশটিতে করোনার টিকা, ভাইরাসবিরোধী ওষুধ ও গণহারে পরীক্ষার সক্ষমতা নেই। এর আগে চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড টিকা দিতে চাইলেও নেয়নি পিয়ংইয়ং। এখন আবার সাহায্য ও টিকা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং ও সিউল। সূত্র: বিবিসি।