সোমবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে দলের চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অর্থ পাচারের দায়ে দণ্ডিত, সেই দলের মুখপাত্র মানে বিশ্ব চোরদের মুখপাত্র।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি অপপ্রচার চালিয়েছিল পদ্মা সেতু বানাতে মানুষের মাথা লাগবে। বিএনপি এমন অপপ্রচারও করেছিল- ‘পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হলেও শেষ করতে পারবে না সরকার’। এখন পদ্মা সেতু দিয়ে বিএনপির অপপ্রচারকারী নেতারা চলাচল করতে চাইলে তাদের আগে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তৎপর। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে বাঘ-হরিণ সব মারা যাবে, বিএনপি এমন অপপ্রচারও চালিয়েছিল। বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পর এখন আর তারা এসব কথা বলেন না।
মন্ত্রী বলেন, করোনার সময় বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, দেশে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে। টিকা নিয়েও তারা অপপ্রচার চালিয়েছেন। বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ও ডা. জাফরুল্লাহ টিকা নেওয়ার পর ভালো লাগছে বলে মন্তব্য করেছেন। আরেক নেতা রুহুল কবির রিজভী তো গোপনে টিকা নিয়েছেন।
বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে বিএনপি-জায়ামাত পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ মাঠে নামবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। সভা সঞ্চালনা করেন দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।