ব্যাংকের হেড অব এজেন্ট ব্যাংকিং মো: নাজমুল হাসান, গণকবাড়ী ব্রাঞ্চ-এর ম্যানেজার মাঈনুদ্দীন আহাম্মেদ, এসএমই ব্যাংকিংয়ের রিজিওনাল হেড, গাজীপুর রিজিওন, মিজানুর রহমান মিজান, এজেন্ট ব্যাংকিং-এর ঢাকা রিজিওনের কো-অর্ডিনেটর গাজী জুনায়েত হোসেন এ উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণ এলাকায় ৭৭% আউটলেট নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রামীণ এলাকায় উপস্থিতি ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১.৭৫ লাখ গ্রাহককে সেবার আওতায় নিয়ে এসেছে। এখন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে প্রতি মাসে ১.৭৪ লাখ লেনদেন সম্পন্ন হয়, যার মোট পরিমাণ ১,৫০০ কোটি টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অ্যাকাউন্ট খোলা, নগদ জমা ও উত্তোলন, ঋণ গ্রহণ, ঋণ পরিশোধ, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা গ্রহণ, ইউটিলিটি বিল প্রদান সহ সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে। এছাড়া ডিপিএস, এফডিআর, দৈনন্দিন লেনদেন, ফান্ড ট্রান্সফার, কর্পোরেট বিল কালেকশন, ক্রেডিট কার্ড বিল, বীমা প্রিমিয়াম, এসএমই লোন বিতরণ ও গ্রহণ, রিটেইল লোনের লিড জেনারেশন সহ যাবতীয় সব সেবা পাওয়া যায়।
ব্র্যাক ব্যাংক জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করার পর থেকে এ নেটওয়ার্ক দ্রুত সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে তারা। ইতিমধ্যেই দেশের ৬৪টি জেলায় পৌঁছে গেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ১,০০০টি আউটলেট চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মূলধারার ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানীয় হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ব্যাংকটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘এজেন্ট অ্যাপ’ এর মাধ্যমে এজেন্ট পার্টনাররা/স্টাফরা আউটলেটের বাইরেও গ্রাহকের ঘরে ঘরে গিয়ে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে পারছেন, যা এ ইন্ডাস্ট্রিতে ব্র্যাক ব্যাংক-কে অন্যদের থেকে এগিয়ে রেখেছে। এজেন্ট পয়েন্টে টাকা জমা দেয়া মাত্র তা অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং তা ৩৭৩টি এটিএম, ১৮৭টি শাখা ও অনলাইন ব্যাংকিং ‘আস্থা অ্যাপ’এর সাহায্যে তোলা যায়। শাখায় যেসব গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তারা বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন্স সম্পন্ন করে এজেন্ট আউটলেটেও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
এ মাইলফলক অর্জন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন: “ব্যাংকিং সুাবধার বাইরে থাকা মানুষদেরকে ব্র্যাক ব্যাংক আনুষ্ঠানিক আর্থিক বলয়ের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিংয়ের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে ভূমিকা পালন করছে এজেন্ট ব্যাংকিং। এজেন্ট ব্যাংকিং উত্তরোত্তর নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে এবং অর্থনীতি বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আগামী বছরগুলোতে দেশের প্রতিটি প্রান্তে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।”