সোনার (Gold) ব্যবহার আজকের নয়। খ্রিস্টজন্মের ৩০০০ বছর আগে ইজিপ্টে সোনার সন্ধান মেলে। সেযুগে মূর্তি ও অলঙ্কার দুইয়ের নির্মাণেই ব্যবহৃত হত সোনা। ভারতীয় সংস্কৃতিতেও সোনার গুরুত্ব দীর্ঘ সময় ধরে। এত বছর পেরিয়ে এসে সোনা কেবল ধর্মীয় তাৎপর্য বা অলঙ্কারের অহঙ্কারে নয়, বিনিয়োগেরও (Gold Investments) এক মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেন সোনা?
মানুষ নানা কারণে সোনা কেনে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য তো আছেই। হিন্দু দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক সোনা। দীপাবলি, ধনতেরাস বা অক্ষয় তৃতীয়ার মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সোনার গুরুত্ব কারও অজানা নয়।
সোনার বিপুল মূল্যের কারণে সম্পত্তি হিসেবেও সোনার গুরুত্ব অপরিসীম। সোনায় বিনিয়োগ করা তাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। সোনা নিরাপদ এক সম্পদ। জেনে নেওয়া যাক সোনায় বিনিয়োগ করা যায় কীভাবে?
ভারতে সোনায় বিনিয়োগ
সোনা নানাভাবে বিনিয়োগ করা যায়। সরাসরি হোক বা মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের মাধ্যমেও সোনায় বিনিয়োগ করা যায়। সোনার বাট বা মুদ্রা কেনা তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অধিক লাভজনক উপায়।
গোল্ড ইটিএফ হল বিনিময়-বাণিজ্যের তহবিল যা সোনায় বিনিয়োগ করে। এখানে ৯৯.৫ শতাংশই হল খাঁটি সোনায় বিনিয়োগ। ৯০ শতাংশই সোনার পিছনে যায়। বাকিটা লাগে অন্যান্য খাতে। এর সবথেকে বড় উপায় হল এটা সবুইধামতো বিনিয়োগের সুযোগ দেয়। অর্থাৎ তুল্যমূল্য ভাবে কম অর্থও বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে সরাসরি সোনা কেনার জন্য করা খরচ থেকে।
যে সংস্থা সোনা ও তার পরিষেবা পরিচালনা করে তার শেয়ার কেনা হয় সোনার ফান্ড কেনার সময়।
গোল্ড মাইনিং শেয়ার
গোল্ড মাইনিং শেয়ারে বিনিয়োগ করাও সোনায় বিনিয়োগের আর এক আকর্ষণীয় উপায়। গোল্ড মাইনিং সংস্থার শেয়ার আপনি সরাসরি কিনতে পারেন।
সোভেরিন গোল্ড বন্ডস
এই বন্ড ইস্টু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ২-৩ মাস অন্তর এই বন্ডের নতুন বিক্রি হয়। এবং প্রতিবারই এক সপ্তাহ মতো সময় থাকে বিনিয়োগ করার জন্য। এই বন্ডগুলির মেয়াদ থাকে আট বছরের। পাঁচ, ছয় বা সাত বছরেই মেয়াদ শেষ করার সুযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখনও এভাবে বিনিয়োগের সুযোগ নেই। তাই সোনার দাম কমলেই কিনে মজুদ করে দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করে আয় করা যায়।