রপ্তানি আয় দ্রুত বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে যে পরিমাণ রপ্তানি হয়েছে, তা আগের অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের পুরো সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে তিন গুণ।
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড একটি রাসায়নিক, যা বস্ত্রসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহার করা হয়। যেসব দেশে বস্ত্র কারখানা বেশি, সেখানেই মূলত রপ্তানি করেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি করেছে ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামে। মোট ১৪টি দেশে রাসায়নিকটি রপ্তানি হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বিএম কনটেইনার ডিপোর মালিকানা রয়েছে স্মার্ট গ্রুপের। গ্রুপটিরই অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আল-রাজী কেমিক্যাল কমপ্লেক্স।
হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ। এটি যদি উত্তপ্ত করা হয়, তাহলে তাপীয় বিয়োজনে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড বিস্ফোরক হিসেবে আচরণ করে। বাংলাদেশের হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আমদানিতে ভারত ও পাকিস্তান অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। ২০১৬ সালের মার্চে পাকিস্তান ট্যারিফ কমিশন বাংলাদেশি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডে ১২ শতাংশ অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে। এরপর ২০১৭ সালে ভারতও বাংলাদেশি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক বসায়।