আবেদন নিষ্পত্তির আদেশে বলা হয়, ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্চাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৬ এর ধারা ৪(৫) অনুযায়ী সংস্থার নিবন্ধন সনদপত্রের মেয়াদ ৫ বছরের পরিবর্তে নতুন আইনে ১০ বছর করার ফলে সরকারের নির্ধারিত বর্ধিত ফি ১৫ হাজার টাকা ও ভ্যাট বাবদ ৪ হাজার ৫০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমার চালানের কপি দাখিল করা হয়নি।
সংস্থাটি সম্পর্কে আরও বলা হয়, দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে কথিত গুম-খুনসহ বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে অধিকার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে, তাতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এনজিও ব্যুরো ব্যক্তির নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা চায়। তবে মামলার কারণ দেখিয়ে সংস্থাটি কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
বৈদেশিক অনুদানে বাস্তবায়িত প্রকল্পের আটটি আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর আপত্তির কোনো জবাব বা ব্যাখ্যা না দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তিনটি প্রকল্পে আর্থিক লেনদেন অসঙ্গতি বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বিষয়ে যথাযথ জবাব না দেওয়াও অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুরের অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে। অপরদিকে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, নতুন আইন অনুযায়ী আরোপিত বর্ধিত ফি ও ভ্যাট না দেওয়ার কথাও এনজিও ব্যুরোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এছাড়া আদেশে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কাজে সম্পৃক্ত থাকার কারণে সংস্থার কার্যক্রম সন্তোষজনক না হওয়ায় অধিকার নামীয় সংস্থার নিবন্ধন নবায়নের আবেদনটি বিবেচনা করার কোন সুযোগ নেই। সংস্থাটি নিবন্ধন নবায়নের জন্য দেওয়া ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের আবেদনটি নির্দেশক্রমে সংস্থাটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।’