রবিবার (১০ মে) খুলনা মেডিক্যাল কলেজে (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে তার করোনা টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
এদিন খুলনার ল্যাবে ১৭২ টেস্টের মধ্যে দুজনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। অপরজন হলেন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা রানী বেগম (২৫)।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ জানান, শনিবার ঢাকার কামরাঙ্গীচর থেকে স্বামী মতিনকে নিয়ে পিকআপ যোগে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি এলাকার মদিনা মসজিদের সামনে বোনকে দেখতে তার বাড়িতে আসেন পলি খাতুন। এরপর খুমেক হাসপাতালে তার করোনা টেস্টের নমুনা নেওয়া হয়। তিনি নমুনা দিয়েই সেনহাটি ফিরে যান। অথচ তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর গোপনে তিনি আবারও স্বামীকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা ত্যাগ করেছেন।
পলির বোন পপি জানান, তার বোনের স্বামী মতিন পিকআপ গাড়ির চালক। তারা একসঙ্গে এসেছিলেন, আবার চলে গেছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, পলি খাতুন করোনা পজিটিভ। তাই তার বোন পপির বাড়িটি লকডাউন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোহাম্মদ রেজা সেকেন্দার জানান, এখন পর্যন্ত খুলনা ল্যাবে ৩ হাজার ২১৭টি টেস্টের মধ্যে ৩০টি পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন। মারা গেছে দুজন।
পরিচালক আরও বলেন, 'শনিবার খুমেক হাসপাতালে ঢাকা থেকে আসা পলি খাতুন নামে এক গৃহবধূ করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দিয়ে যান। ওই সময় তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা না মেনে বাড়িতে চলে যান এবং করোনা টেস্ট পজিটিভ হওয়ার পর তিনি এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।'