বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদির গণমাধ্যমে জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নামানো গেলে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল থেকে কুমারগাঁও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি প্রবেশ করতে থাকে। খবর পেয়ে ওইদিন সকালে ছুটে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বিউবো’র কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রের চারদিকে বাঁধ দিয়ে সেচের মাধ্যমে পানি কমানোর উদ্যোগ নেন। এরপর এই কাজে যুক্ত হন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে দুর্ঘটনা এড়াতে ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ জেলা ও সংলগ্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অধিকাংশ বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। অনেকে আশ্রয়ের খোঁজে এদিক-ওদিক ছুটছেন। গবাদি পশু ও ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।