এবিষয়ে সিলেটের সহকারী স্টেশন মাস্টার সজীব কুমার মালাকার গণমাধ্যমে বলেন, ‘সিলেট রেল স্টেশনের সবগুলো লাইন পানিতে ডুবে গেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। আজ সকালেও কিছু ট্রেন স্টেশনে এসেছে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি আরো বাড়তে শুরু করে। এ অবস্থায় ট্রেন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।’
এর আগে সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে শনিবার (১৮ জুন) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে পুরো সিলেট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদির জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বন্যার পানি প্রবেশ করায় সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নামানো গেলে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
এদিকে বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারকাজে নৌবাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হচ্ছেন। তাদের সঙ্গে থাকছে বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার ও কোস্ট গার্ডের দুটি ক্রুজ।
এর আগে শুক্রবার (১৭ জুন) দুপর থেকে সিলেটে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা সিলেট সদর, কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।