শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৫ মে এই বর্ষায় প্রথম দফায় বন্যা হয় সিলেটে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে, মে মাসের বন্যায় গত ১৮ বছরের মধ্যে সেটা ছিল সবচেয়ে বড় বন্যা। তবে চলমান বন্যা গত মাসের রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না ঘুমিয়ে সার্বক্ষণিক বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। বন্যা ও দুর্যোগ সংক্রান্ত সব সংস্থা কাজ করছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী কার্যক্রম চালাবে।
সূত্র মতে, বুধবার থেকে সিলেটের নিচু এলাকায় পানি জমে। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই সিলেট নগরের বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে।
২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি আগের দিনের চেয়েও ভয়ানক রূপ লাভ করেছে। বন্যার শিকার মানুষের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির দরকার। এ ছাড়া জেলার কৃষকরা তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা মানবিক সংকট মোকাবিলায় সবাইকে সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।