প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগামী বাজেটে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের জন্য ‘কভিড-১৯ মোকাবেলা বাজেট’ বরাদ্দ করা দরকার। এতে করে মন্ত্রণালয়গুলো তাদের নিয়মিত কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি সব কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলমান রাখতে পারবে। আর মহামারী মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়গুলো তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে পারবে।
বর্তমান মহামারীর ফলে বিরাজমান সংকট ও আসন্ন সংকটের বিভিন্ন আঙ্গিক ও উত্তরণের উপায় নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরের অর্থনীতিবিদ, গবেষক, উন্নয়নকর্মী, নীতিনির্ধারক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার জন্য একটি ইন্টারনেটভিত্তিক প্লাটফর্ম ‘সানেম নেটিজেন ফোরাম’ গড়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত সোমবার বেলা ২টায় সানেম নেটিজেন ফোরামের ষষ্ঠ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্বের আলোচনা থেকে কভিড-১৯ মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্লেষকরা।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হানের পরিচালনায় আলোচনায় জুমের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গনের প্রায় ৫০ জন ব্যক্তি এ পর্বে অংশ নেন।
এছাড়া সানেম টিমে ছিলেন সানেমের গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, সানেমের রিসার্চ ইকোনমিস্ট জুবায়ের হোসেন, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ইশরাত শারমিন, মীর আশরাফুন নাহার, ফাবিহা বুশরা ও শাকিল আহমেদ।
সূচনা বক্তব্যে ড. সেলিম রায়হান মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশে চলমান লকডাউন নিয়ে আলোচনা করেন এবং এর বিভিন্ন আঙ্গিকের ওপর আলোকপাত করেন। জীবন না জীবিকা, কোনটিকে নীতিনির্ধারকদের অগ্রাধিকার দেয়া উচিত উল্লেখ করে
তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন উঠিয়ে নিলে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি। এতে করে, মহামারী পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটতে পারে। ফলে খাত ও অঞ্চলভিত্তিক স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়ন ও প্রয়োগের ব্যাপারে সানেমের যে প্রস্তাব সেটির ওপর জোর দেয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।