ঈদের জামাতের আগে (বয়ান) আলোচনা করা হয়। শুক্রবার সৌদি আরবের মক্কা শরিফে পবিত্র হজ পালিত হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি মুসলমান কুরবানির ঈদ পালন করছে। তাদের সঙ্গে মাদারীপুর জেলার ৪০ গ্রামেও ঈদ-উল আযহা পালিত হচ্ছে।
হযরত সুরেশ্বরী (রা.) এর ভক্ত অনুসারীরা মাদারীপুরের তিন উপজেলার ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আজ ঈদ-উল আযহা করছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন-এর ভক্ত-অনুসারী চরকালিকাপুর গ্রামের জাকির মুন্সী। ঈদের নামাজ শেষে আল্লাহ‘র নৈকট্য লাভের প্রত্যাশায় পশু কুরবানি দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জানশরীফ শাহ্ধসঢ়; সুরেশ্বরী (রা.) এর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবেরর সঙ্গে মিল রেখে একদিন পূর্বে রোজা রাখেন, একদিন পূর্বে ঈদ উদযাপন করেন, একদিন আগে ঈদ-উল আযহা পালন করেন এবং পশু কুরবানি দেন। সে হিসেবে আজ শনিবার মাদারীপুর সদর
উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তালুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়াইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ী, শিবচর উপজেলার বাহেরচর, কেরানীরবাট, কালকিনির রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাশেরহাটসহ জেলার ৪০ গ্রামের গ্রামে এলাকা ভিত্তিক লক্ষাধিক মানুষ ঈদ-উল আযহা বা কোরবানীর ঈদ পালন করছেন।
সুরেশ্বর পীরের অনুসারী চরকালিকাপুর গ্রামের জাকির মুন্সী বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের সবকিছুই সৌদি আরব হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ধসঢ়; সুরেশ্বরী (রা.) এর অনুসারীরা ১৫০ বছর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ উল আযহা পালন করে আসছেন। সে অনুযায়ী আমরা আজ শনিবার (৯ জুলাই) পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালন করছি।