রোববার (১০ জুলাই) বঙ্গভবনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশে হঠাৎ কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে রাষ্ট্রপতি রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঐতিহ্যবাহী ঈদের নামাজে অংশ নেননি।
প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত দুই বছর ধরে শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই মারাত্মক ক্ষতি এবং সংক্রমণের সাথে দেশটি একটি গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এ কারণে রাষ্ট্রীয় অনেক কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা সাইফুল কবির।
ঈদের নামাজে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রাণঘাতী কোভিড-১৬ এ যারা মারা গেছেন তাদের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং সারাদেশের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে করোনা রোগীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম রাতে শাহাদাত বরণ করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও দেশের স্বার্থে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি ভবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান রাষ্ট্রপতি হামিদ।
তবে কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশি কূটনীতিক বা অতিথিদের উপস্থিতিতে মুখরোচক খাবার পরিবেশনসহ কোনো আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা জানানো হয়নি।