কোনোভাবেই সাধারণ মানুষ যাতে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলা, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলাচল করতে না পারে সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গণপরিবহন চালু করার বিষয়ে পরিবহন মালিকরা আবেদন করলেও সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এবার সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময়ে সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।
একই সঙ্গে মহাসড়কে মালবাহী ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটি এবং চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালে এক জেলা থেকে অন্য জেলা বা এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে।
রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা নেওয়া, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার করা, ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না। সাধারণ ছুটি/নিষেধাজ্ঞাকালে সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কে মালবাহী/জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।