শনিবার (১৬ মে) করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আম, লিচু ও অন্যান্য মৌসুমি ফল এবং কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্মে) মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সবাই যার যার মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। আমরা এগুলো সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করেছি। এই বক্তব্য আমরা অবশ্যই প্রসেডিং হিসেবে প্রকাশ করব। যেসব সুপারিশ ও উপদেশ আমাদের জন্য এসেছে সেগুলো সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করে এর ভিত্তিতে আমরা বিভিন্ন অ্যাকশন প্রোগ্রাম এবং সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে যাতে এগুলো বাস্তবায়ন করা যায় সে জন্য মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, একটা সুপারিশ এসেছে যে বেশিরভাগ ট্রাক (ফল ও কৃষিপণ্যবাহী) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে আসে। ট্রাকগুলো খালি ফেরত যায়। সেক্ষেত্রে আমরা যাতে ট্রাকের ভাড়া কমিয়ে দিতে পারি। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে অর্থমন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ মহলে আলোচনা করে আমরা দেখব।
ফলের ট্রাক, আমের ট্রাক, লিচুর ট্রাক, সবজির ট্রাক হলে আমরা (ভাড়ার ক্ষেত্রে) কিছুটা অর্ধেক বা একটা পরিমাণ আমরা ছাড় দিতে পারি কিনা, একটা প্রণোদনা দিতে পারি কিনা। এই ধরনের অনেক সাজেশন এসেছে।
তিনি বলেন, মৌসুমি ফল এই মধু মাসে আমরা যেমন ভোগ করব তেমনি আমাদের চাষিরা যারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে এই ফল উৎপাদন করেছে তারা যাতে ন্যায্য ও সঠিক মূল্য পায় এবং তারাও যেন খুশি হয়।
কৃষিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য, ফল ও কৃষিপণ্য উৎপাদক, বাজারজাতকারিরা উপস্থিত ছিলেন।